নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তাদের প্রতীকও স্থগিত থাকবে এবং তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানো যাবে কিনা, তা সময়ের সঙ্গে স্পষ্ট হবে।
অর্থাৎ, আওয়ামী লীগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। যদিও আওয়ামী লীগের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, স্থগিতাদেশে থাকা দলের বিষয়ে ইসির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন সংক্রান্ত সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ইসি সানাউল্লাহ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সংশোধিত আদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবেন। আদালত কর্তৃক ফেরারি ঘোষিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। যারা লাভজনক পদে কর্মরত বা সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারী, তারা অংশ নিতে পারবেন না।
ইসি আরও বলেন, প্রার্থীর হলফনামায় তথ্য গোপন বা মিথ্যা তথ্য থাকলে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সেই ব্যক্তি সংসদ সদস্য পদ হারাবেন। নির্বাচনী জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
একক প্রার্থী থাকলে সেই আসনে ব্যালটে ‘না’ ভোট থাকবে। জোটবদ্ধ নির্বাচনে প্রতিটি প্রার্থী নিজ দলের প্রতীকে অংশগ্রহণ করবে। ইভিএম সংক্রান্ত সব বিধান বাতিল করা হয়েছে। মিডিয়ার প্রতিনিধিরা ভোট গণনায় অংশ নিতে পারবেন। নির্বাচনী পোস্টার বাতিল হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আচরণবিধি ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ কোনো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন স্থগিত থাকবে ও তাদের প্রতীক সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া ভোট শব্দ সম্পর্কিত কিছু প্রক্রিয়া এখন নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে।
