ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীর চরিত্র ও যোগ্যতাই হোক মূল বিবেচনা : শায়খ আহমাদুল্লাহ

ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীর চরিত্র ও যোগ্যতাই হোক মূল বিবেচনা : শায়খ আহমাদুল্লাহ ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৬:৩৭, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসলাম এমন এক পূর্ণাঙ্গ ও সর্বকালীন জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, আন্তর্জাতিক জীবন থেকে শুরু করে অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, আইনকানুনসহ জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। দুনিয়া ও আখিরাত  দুই দিকেই ভারসাম্যপূর্ণ নীতি দিয়েছে ইসলাম। আর সে কারণেই ইসলামের দৃষ্টিতে ভোটের গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

ইসলামে দুর্নীতিগ্রস্ত, ঘুষখোর, সন্ত্রাসী, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনকারী, ধর্মবিমুখ কিংবা খোদাদ্রোহী ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার কিংবা ক্ষমতায় বসার কোনো সুযোগ নেই। বরং নির্বাচন ব্যবস্থায় ইসলাম সর্বদা প্রাধান্য দিয়েছে ব্যক্তির সততা, যোগ্যতা, খোদাভীতি, ইমান-আমল, জ্ঞান ও চরিত্রকে।

এ কারণে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া যেমন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হওয়া আবশ্যক, তেমনি প্রার্থীও হতে হবে সৎ, জ্ঞানী, যোগ্য, আমানতদার, খোদাভীরু, দেশপ্রেমিক, ন্যায়পরায়ণ ও মানবদরদি  এমন গুণাবলি সম্পন্ন।

এই বাস্তবতায় আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, তেমনি ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্নও। অনেকে জানতে চাইছেন  আসলে কাকে ভোট দেওয়া উচিত?

এ প্রসঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেন,
‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো   কোন প্রার্থীকে ভোট দিলে শিক্ষাঙ্গনের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত হবে। কার নেতৃত্বে আমাদের বোনেরা হিজাব ও পর্দার স্বাধীনতা বজায় রেখে দ্বীন পালন করতে পারবেন? কাকে ভোট দিলে রক্তপাত, খুনাখুনি আর অরাজক পরিবেশ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে   এসব দিক বিবেচনা করেই আপনাদের ভোট দিতে হবে।’

ভোটের দায়-দায়িত্ব প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,
‘দলীয় স্বার্থ, ক্ষুদ্র কোনো ইস্যু বা ব্যক্তিগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ভোট দেওয়া আসলে ভোটের প্রতি খেয়ানত। ভোট একটি আমানত, আর এই আমানত রক্ষা হবে তখনই, যখন আপনার ভোট বৃহত্তর কল্যাণে ব্যবহার করবেন।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন,
‘অনেক দিন ধরেই দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠে আমাদের বোনেরা স্বাধীনভাবে দ্বীন পালনের সুযোগ পাচ্ছেন না; বরং নানা ট্যাগ ও চাপ সৃষ্টি করে তাদের কোণঠাসা করে রাখা হচ্ছে। এমনকি ছেলেদের ক্ষেত্রেও ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা চলে আসছে। এই বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের উচিত প্রতিটি প্রার্থীর কাছে তুলে ধরা এবং তাদের কাছ থেকে সমাধানের প্রতিশ্রুতি আদায় করা।’

সবশেষে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আহ্বান জানান,
‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সামনে এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করতে হবে এবং যিনি তুলনামূলকভাবে বেশি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে সক্ষম বলে মনে হবে, আল্লাহর ওপর ভরসা করে তাকেই ভোট দিতে হবে।’

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement