বিতর্কিত ফোনালাপের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারালেন পেতংতার্ন

Published : ১৫:৪৯, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিতর্কিত ফোনালাপের ঘটনায় থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের পক্ষে রায় দিয়েছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) নয় সদস্যের বেঞ্চ তাদের রায়ে উল্লেখ করে, তিনি নৈতিকতার মানদণ্ড ভঙ্গ করেছেন এবং জাতীয় স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে পেতংতার্ন থাই সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে সমালোচনা করেন এবং কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে ‘আংকেল’ বলে সম্বোধন করেন। এ ঘটনাকে ঘিরে দেশজুড়ে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
যদিও তিনি দাবি করেছিলেন, এটি ছিল শান্তিপূর্ণ আলোচনার অংশ হিসেবে কৌশলগত মন্তব্য। তবে আদালত সেই যুক্তি খারিজ করে দিয়ে জানায়, এ বক্তব্য থাইল্যান্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে এবং জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে।
রায়ে আদালত স্পষ্ট করে বলে, ফোনালাপের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদাকে হেয় করেছে এবং জাতীয় মর্যাদায় আঘাত হেনেছে। এজন্য তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হচ্ছে।
গত জুনে এ ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ১ জুলাই আদালতের ভোটাভুটিতে ৭-২ ব্যবধানে তার অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে আদালতের রায়ের পর পেতংতার্ন গভর্নমেন্ট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
BD/AN