প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পর্কে ‘বেফাঁস মন্তব্য’ করায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে সাত দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা পাঠাতে বলা হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন হলে ‘নির্বাচনি দায়িত্বশীল সম্মেলন’-এ বক্তব্য দিতে গিয়ে শাহজাহান চৌধুরী প্রশাসনকে নির্বাচনি নিয়ন্ত্রণে আনার বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়; যার যার এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে, তাদের আমাদের আওতায় আনতে হবে। আমাদের কথায় চলতে হবে—গ্রেপ্তার, মামলা—সবই হবে আমাদের নির্দেশে।’ এই বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
জামায়াত জানায়, তার ওই মন্তব্য রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে যায়। অতীতেও তিনি একাধিকবার এ ধরনের সংগঠনের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্নকারী বক্তব্য দিয়েছেন, যার জন্য তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। এমনকি আমিরে জামায়াতও তাকে ডেকে সতর্ক করেছিলেন। এর পরও তার আচরণে পরিবর্তন দেখা যায়নি।
দলটি জানিয়েছে, তার মন্তব্যে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কূটনৈতিক মহল থেকেও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। দেশ-বিদেশে সংগঠনের সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মাঝেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এতে জামায়াতের ভাবমর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দলীয় গঠনতন্ত্র, নীতি ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী হওয়ায় তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে—কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না মিললে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১৫ (সাতকানিয়া–লোহাগাড়া) আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা রয়েছে শাহজাহান চৌধুরীর।

































