বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো আগের মতোই রয়েছে। তার স্বাস্থ্যের উন্নতি খুব ধীরগতিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য জানান, তার শারীরিক অবস্থায় কিছু অগ্রগতি দেখা গেলেও তা উল্লেখযোগ্য নয়। ছোট ছোট কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হচ্ছে, তবে এখনো তাকে বিদেশে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। চিকিৎসকদের লক্ষ্য হলো দেশেই রেখে সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করে ঝুঁকিমুক্ত করা।
তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়াকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসার আওতায় রাখা হয়েছে। নিয়মিত স্যালাইন ও ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে এবং একই সঙ্গে ডায়ালাইসিস কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের আরেক সদস্য জানান, খালেদা জিয়ার পাশে সবসময় তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠরা অবস্থান করছেন। এ সময় তার সঙ্গে রয়েছেন জোবাইদা রহমান, সৈয়দা শর্মিলা রহমান, গৃহপরিচারিকা ফাতেমা এবং স্টাফ রূপা আক্তার। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবউদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে চিকিৎসক দল তার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে ৭৯ বছর বয়সী এই নেত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র ও চোখসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন।
দেশি ও বিদেশি মোট ৩০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন বৈঠক করে তার চিকিৎসা পরিকল্পনা পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার ফুসফুস, হৃদযন্ত্র ও কিডনির অবস্থার দ্রুত অবনতি ধরা পড়ায় তাকে কেবিন থেকে সরিয়ে উন্নত চিকিৎসা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।































