উন্নত চিকিৎসার জন্য হাদিকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি

উন্নত চিকিৎসার জন্য হাদিকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২১:১৬, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশযাত্রা তার জন্য নিরাপদ ও উপযোগী হবে কি না— সে বিষয়ে এখনো চিকিৎসকদের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যায়নি।

চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় থাইল্যান্ড অথবা সিঙ্গাপুর— এই দুটি দেশের যেকোনো একটিতে নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সম্ভাব্য গন্তব্যের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাতের মধ্যেই নেওয়া হবে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন ও ওসমান হাদির চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক ডা. আব্দুল আহাদ।

তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত এসেছে। বর্তমানে থাইল্যান্ড কিংবা সিঙ্গাপুরের কোনো একটি হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

ডা. আব্দুল আহাদ আরও বলেন, আগামীকাল উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে হাদিকে বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে কোন দেশে নেওয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে জানান, বর্তমান শারীরিক অবস্থায় হাদি বিদেশে নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ উপযুক্ত কি না— সে বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি।

রোগীর নিরাপত্তা বিবেচনায় বিদেশযাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হবে কি না, সে বিষয়ে বোর্ডের ক্লিয়ারেন্স পাওয়া গেলে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। আশা করা হচ্ছে, সোমবার সকালে মেডিকেল বোর্ড এ বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত দেবে।

এদিকে, এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকায় সীমান্ত দিয়ে লোক পারাপার চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং মূল হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। তিনি এ ঘটনায় কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে নিকটস্থ থানা অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে জানানোর জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসীরা যেন কোনোভাবেই দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) সতর্ক করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা দুই সন্দেহভাজন আসামি বর্তমানে দেশে আছে নাকি বিদেশে পালিয়ে গেছে— এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত তাদের দেশ ছাড়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

পুলিশের কাছে থাকা সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফয়সল মোটরসাইকেলের পেছনে বসে গুলি চালায় এবং আলমগীর মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল। তিনি জানান, ফয়সল গত জুলাই মাসে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসে।

হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, বর্তমানে হাদির পরিবার হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যস্ততায় রয়েছে। পুলিশ চায়, এ মামলায় পুলিশ বাদী না হয়ে হাদির পরিবার বাদী হোক। তবে পরিবার যদি সরাসরি থানায় আসতে না পারে, সে ক্ষেত্রে মামলার খসড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে মামলা দায়ের করা হবে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement