রংপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
Published : ২০:৪০, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
রংপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আজ ১৪ ডিসেম্বর রবিবার সকালে রংপুর বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর টাউন হল বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়।
এসময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক এনামুল আহসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস পরিকল্পিতভাবে দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এর উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব ও মেধাশূন্য করা। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগই আমাদের শক্তি ও প্রেরণা।
বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, বুদ্ধিজীবীরা জাতির বিবেক। তাঁদের আদর্শ ধারণ করেই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মুক্তচিন্তার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। দেশে কারো বাকস্বাধীনতা হরণের চেষ্টা আর মেনে নেওয়া হবে না। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে এবং তাদের মাঝে দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে নগরীর পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বিভিন্ন শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠে পুরো এলাকা। শ্রদ্ধা নিবেদনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানও লক্ষ্য করা যায়।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের ঠিক প্রাক্কালে রাতের অন্ধকারে চোখ বেঁধে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিকসহ দেশের কৃতী সন্তানদের ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। দিনটি জাতির ইতিহাসে গভীর শোকের দিন হিসেবে চিহ্নিত।
বিডি/এএন
































