আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যেই দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়ে পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে—এমন দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত সাংবাদিকরা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের নেতৃত্বে অল্প সময়ের জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন পত্রিকাটির সংবাদকর্মীরা। এ সময় তারা হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, পত্রিকাটির ইতিহাসে এই প্রথম এমন কঠিন ও ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করতেই এই ধরনের হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে রাজধানীতে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পাশাপাশি সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবিরকে হেনস্তার ঘটনাসহ সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জানমাল ধ্বংসের সব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সরকার।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বিবৃতিতে এসব ঘটনার নিন্দা জানান। একই সঙ্গে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে দেশের সব নাগরিককে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন উগ্র গোষ্ঠীর মাধ্যমে সংঘটিত সহিংসতার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক ও দৃঢ় থাকতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন, অগ্নিসংযোগ এবং জানমাল ধ্বংসের যেকোনো কর্মকাণ্ড সরকার দৃঢ়ভাবে ও দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করে।
এর আগে একই দিনে প্রধান উপদেষ্টা টেলিফোনে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সম্পাদকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তাদের জানান, সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর চালানো এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ন্যক্কারজনক হামলা তাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে এবং এই সংকটময় সময়ে সরকার তাদের পাশে রয়েছে। খুব শিগগিরই সরাসরি সাক্ষাতের ইঙ্গিতও দেন তিনি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যা দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
































