আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে দেশের এক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। রুমিন ফারহানা জানান, “ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে আমি নির্বাচন করবো। আগামীকাল অথবা পরশু আমার পক্ষে মনোনয়ন ফরম নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “একটি বড় দল যেমন বিএনপি, তাদের ভাল-মন্দ বিবেচনা করতে হয়। যেহেতু দল জমিয়তে উলামায়ের সঙ্গে জোট করেছে এবং তাদের আসন না দিলে কিভাবে জোট সম্ভব হবে, তাই দল বাধ্য হয়ে ওই আসন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কাছে দিয়েছে।”
স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে দল থেকে বহিষ্কারের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, “যদি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়, দল অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। আমি তো আসলে সেটা প্রতিহত করতে পারব না।”
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জোট প্রার্থী হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন, “দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থীরা যে সমস্ত আসনে নির্বাচন করবেন, বিএনপি সেসব আসনে কোনো প্রার্থী দেবে না। তিনি জনগণকে খেজুর গাছ প্রতীকে ভোট দিয়ে ধানের শীষের শক্তি বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি বিএনপির অভ্যন্তরীণ আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭টি আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের কোনো নাম উল্লেখ করা হয়নি। এরপর থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা নিশ্চিত হয়ে যান, এই আসনটিতে জোট প্রার্থী জুনায়েদ আল হাবীবকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হবে। তবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা তার নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা থামাননি এবং বিভিন্ন সভা-সমাবেশে দল থেকে মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন।
