ঘন কুয়াশার কারণে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১১ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে হযরত আলী নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল প্রায় ৯টার দিকে ময়মনসিংহ–কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খৈরাটি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর মহাসড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে, ফলে ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় কবলিত দুটি বাস বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—নাইন্দাল উপজেলার আক্কাস আলীর ছেলে হযরত আলী (৫০), শহর উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রশিদ (৭৫), ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাহের উদ্দিনের ছেলে মজিবুর রহমান (৫০), খসরু মিয়ার ছেলে সোহেল (৪২), বোরহান উদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৫১), কিশোরগঞ্জ জেলার জজ মিয়ার ছেলে হানিফ মিয়া (৩০), শামীম মিয়া (৩৭), রাহেলা খাতুন (৬৫), জাহাঙ্গীর আলম (৫৩), জালাল উদ্দিন (৬৫) ও কামরুজ্জামান ভুঁইয়া (৪৫)।
ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী ‘এম. কে সুপার’ বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ময়মনসিংহ থেকে ভৈরবগামী ‘শ্যামলছায়া’ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি বাসের সামনের অংশ মারাত্মকভাবে দুমড়েমুচড়ে যায়।
ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রাম প্রসাদ পাল জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেন এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠান।
এদিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল আজম বলেন, দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত বাস দুটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাস দুটি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
































