মাত্র ১৪ ঘণ্টায় তাসনিম জারার তহবিলে বিপুল অর্থ
Published : ১৩:৫৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য জনগণের সহায়তা চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার পর ঢাকার ৯ নম্বর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ব্যাপক সাড়া মিলেছে।
অল্প সময়ের মধ্যেই অসংখ্য মানুষ তার কাছে অর্থ পাঠাতে শুরু করেন। সর্বশেষ ১৪ ঘণ্টায় কত টাকা জমা পড়েছে, সেই হিসাব নিজেই ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় দেওয়া ওই পোস্টে ডা. তাসনিম জারা জানান, মাত্র ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সাধারণ মানুষ তার নির্বাচনী তহবিলে ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন। এই পরিমাণ অর্থ তাদের নির্ধারিত ফান্ডরেইজিং লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও বেশি। তিনি লেখেন, মানুষের এই অকল্পনীয় সাড়া ও ভালোবাসায় তারা গভীরভাবে অভিভূত। পুরো ফান্ডরেইজিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা, যা পূর্ণ হলেই অনুদান সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, সোমবার দিনগত রাত ২টার দিকে তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের লেনদেন সীমা পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে যারা এখনো অনুদান পাঠাতে ইচ্ছুক হলেও বিকাশের সীমাবদ্ধতার কারণে পাঠাতে পারছেন না, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ডোনেশন করার অনুরোধ জানান তিনি।
ডা. তাসনিম জারা তার লেখায় স্পষ্ট করে বলেন, শুরু থেকেই তিনি এই ফান্ডরেইজিং কার্যক্রমকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তারা যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন, সেগুলোর ব্যাখ্যাও তিনি দেন।
তিনি জানান, প্রথমত—কোনো ধরনের নগদ অর্থ গ্রহণ করা হচ্ছে না। সব অনুদান শুধুমাত্র বিকাশ ও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রহণ করা হচ্ছে। ফলে প্রতিটি টাকার একটি নির্ভরযোগ্য আর্থিক রেকর্ড সংরক্ষিত থাকছে, যা তাদের নিজস্বভাবে তৈরি নয়, বরং বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার আওতায় রয়েছে এবং ভবিষ্যতে যাচাই করা সম্ভব হবে।
দ্বিতীয়ত—এখন পর্যন্ত কত টাকা সংগ্রহ হয়েছে এবং কোন মাধ্যমে কত টাকা এসেছে, সে বিষয়ে নিয়মিতভাবে জনসাধারণকে অবহিত করা হচ্ছে। এসব আর্থিক নথি নির্বাচন কমিশনের কাছেও জমা দেওয়া হবে, যাতে কমিশন চাইলে তা যাচাই করতে পারে।
তৃতীয়ত—কোন খাতে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হবে, সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ও বিস্তারিতভাবে জনগণকে জানানো হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
সবশেষে, এই ফান্ডরেইজিং প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে কারও কাছে কোনো পরামর্শ থাকলে তা জানাতে সবার প্রতি আহ্বান জানান এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা।
বিডি/এএন































