বিএনপি ক্ষমতায় এলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বিশেষ ভাতা

বিএনপি ক্ষমতায় এলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বিশেষ ভাতা ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৪:১২, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে না। একই সঙ্গে কওমি মাদ্রাসা থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল জানান, আসন্ন নির্বাচনে সিলেট-৫ আসনে জমিয়তের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, নীলফামারী-১ আসনে দলটির মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এসব আসনে বিএনপি নিজ দলীয় কোনো প্রার্থী দেবে না। দলের এই সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে। কেউ সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জমিয়তের প্রার্থীরা তাদের দলীয় প্রতীক ‘খেজুর গাছ’ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলেও জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে কেবল জমিয়ত উলামায়ে ইসলামই এবারের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। যদিও শুরুতে জমিয়তের প্রত্যাশা ছিল আরও বেশি আসন, যা নিয়ে কিছুটা টানাপোড়েনও দেখা দেয়। তবে আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় পৌঁছায় জমিয়ত। এর ফলে সারাদেশে জমিয়তের যেসব প্রার্থী ছিলেন, তারা নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন।

জমিয়তের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা তা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং দোয়া করছি—এই উদ্যোগ যেন সফল হয়।

এদিকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ যখন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রত্যাশা ছিল সরকার কয়েক মাস হলেও যোগ্যতার পরিচয় দেবে। তবে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তারা তাদের কথা রেখেছে এবং ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। যদিও নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে সরকারকে আরও সতর্ক, ইতিবাচক ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। বিএনপি চায়, নির্বাচন যেন একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement