বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে।
শোকাহত নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হয়ে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছেন এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনজুড়ে তার লড়াই–সংগ্রামের স্মৃতিচারণ করছেন। এ সময় তাদের অনেককেই আবেগে ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেওয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ ও নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরছেন। শোকের ভারে কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. কিবরিয়া।
তিনি বলেন, নেত্রী সুস্থ হয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন—এই আশা আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ধরে রেখেছিলাম। কিন্তু আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জীবন ও রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে দেশের মানুষের শেখার অনেক কিছু আছে। তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান তিনি। পাশাপাশি তিনি যে বাংলাদেশ কল্পনা করেছিলেন—গণতন্ত্র, ন্যায় ও মানুষের অধিকারভিত্তিক সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাই যেন ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করেন, সেই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। শ্বাসকষ্টের তীব্রতা বাড়লে গত ২৩ নভেম্বর তাকে জরুরি ভিত্তিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।

































