দেশে আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পরামর্শ বিষয়ক সেবা চালু

Published : ১৩:০১, ৮ জুলাই ২০২৫
দেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসার জন্য অভিবাসন পরামর্শ পরিষেবা এখন কেবল একটি ফোন কল বা মাউস ক্লিকের মাধ্যমেই সম্ভব।
ভিএফএস গ্লোবাল বাংলাদেশ এখন থেকে ভিএফএস গ্লোবালের শিক্ষা, বাণিজ্য ও অভিবাসন (ভিএফএস ইটিএম) সার্ভিসেস ও রায়াদ গ্রুপের পার্টনারশীপে বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা আবেদনকারীদের জন্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ পরিষেবা প্রদান করবে।
আবেদনকারীগণ https://www.onevasco.com/ind/en/immigration/uae-golden-visa.html ওয়েবসাইটে গিয়ে অথবা +880 1739 861116 নম্বরে কল করে পরিষেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন।
এই সুযোগের মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক, পেশাদার, বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, সৃজনশীল এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ সরকারি মনোনয়ন বিভাগের অধীনে ১০ বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন, রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ বা কোনও কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার কোন প্রয়োজন হবে না।
ভিসাধারীগণ তাদের স্ত্রী, সন্তান (প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানসহ), বাবা-মা এবং পরিবারের কর্মীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসের জন্য স্পন্সর করতে পারবেন।
এই বিশেষায়িত পরিষেবাটি সম্প্রতি ঢাকায় ভিএফএস ইটিএম এবং রায়াদ গ্রুপ দ্বারা যৌথভাবে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের প্রথম উদ্যোগ হতে যাচ্ছে। এই কেন্দ্রটি অভিবাসন প্রক্রিয়া এবং অভিবাসন বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য আইনি দক্ষতার পাশাপাশি অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।
১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত রায়াদ গ্রুপ বিশ্বব্যাপী অভিবাসন এবং আইনি পরামর্শে বিশেষজ্ঞ, ৪৫টি দেশে UAE গোল্ডেন ভিসা, মার্কিন EB-5 প্রোগ্রাম এবং নাগরিকত্ব বিনিয়োগের পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
ভিএফএস গ্লোবাল বিশ্বস্ত প্রযুক্তি পরিষেবায় বিশ্বব্যাপী একটি নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান যা সরকার এবং নাগরিকদের জন্য নিরাপদ অভিবাসন সক্ষমতা জোরদার করে। ৬৯টি ক্লায়েন্ট সরকারের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে, ভিএফএস গ্লোবাল ১৫৮টি দেশে ৩,৮০০টিরও বেশি আবেদন কেন্দ্র পরিচালনা করে এবং ২০০১ সাল থেকে ৪৬১ মিলিয়নেরও বেশি আবেদন প্রক্রিয়া দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করেছে।
ভিএফএস গ্লোবালের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ইয়ুমি তালওয়ার বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে অভিবাসন পরামর্শ পরিষেবার জন্য, বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসার জন্য পরামর্শ পরিষেবার চাহিদা বাড়ছে। আমাদের “গ্রাহক-প্রথম” নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা এই পরিষেবাটি চালু করতে পেরে আনন্দিত যা আবেদনকারীদের অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে এবং তথ্যবহুল সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করবে।"
রায়াদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়াদ কামাল আইয়ুব বলেন, "সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, অনুকূল কর নীতি এবং বিলাসবহুল জীবনযাত্রার অনন্য সমন্বয় এটিকে নতুন সুযোগ এবং উন্নত জীবনযাত্রার সন্ধানকারী সম্পদশালী ব্যক্তিদের জন্য একটি প্রধান গন্তব্যস্থল হিসাবে গণ্য।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিরাপত্ত্বা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রাম বাসিন্দাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ধনী ব্যক্তি আন্তর্জাতিক ব্যবসা এবং ব্যক্তিগত প্রবৃদ্ধির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে একটি কৌশলগত ভিত্তি হিসেবে বেছে নিচ্ছেন, যা দেশের দূরদর্শী নীতি এবং বিশ্বব্যাপী সংযোগের দ্বারা আকৃষ্ট। তিনি বিশ্বাস করেন যে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশী উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি স্থিতিশীল এবং গতিশীল পরিবেশে তাদের সম্ভাবনার দিগন্ত প্রসারিত করার জন্য একটি আকর্ষণীয় সুযোগ প্রদান করে থাকে।
ভিএফএস ইটিএম সম্পর্কে:
ভিএফএস গ্লোবালের শিক্ষা, বাণিজ্য ও অভিবাসন ব্যবসায়িক ইউনিট, “ভিএফএস-ইটিএম”, মানুষের নিরাপদ এবং দক্ষ দীর্ঘমেয়াদী অভিবাসন পরিচালনার জন্য বিশ্বব্যাপী সরকারগুলির সাথে কাজ করছে। ভিএফএস-ইটিএম দক্ষতা মূল্যায়ন, গতিশীল ডিজিটাল যাচাইকরণ (DDV), কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ-মূখী অভিবাসনের জন্য সহজ নির্দেশনাসহ অভিবাসন পরিষেবার একটি বিস্তারিত পরামর্শ প্যাকেজ প্রদান করে থাকে।
এই পরিষেবাগুলো জাতীয় মান বজায় রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং পাবলিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়াগুলিকে উল্লেখযোগ্যভাবে কার্যকরী করা হয়েছে। উপরন্তু, ভিএফএস ইটিএম বাণিজ্য প্রচার, বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং আন্তর্জাতিক ছাত্র অভিবাসন সহজীকরণে সরকারগুলিকে সহায়তা করে থাকে।
ভিএফএস গ্লোবাল সম্পর্কে:
বিশ্বস্ত প্রযুক্তি পরিষেবার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে, সরকার এবং নাগরিকদের জন্য নিরাপদ অভিবাসন জোরদার করে, ভিএফএস গ্লোবাল বিশ্বব্যাপী সরকার এবং কূটনৈতিক মিশনগুলিকে সমর্থন করার জন্য জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কোম্পানিটি তার ক্লায়েন্ট সরকারের জন্য ভিসা, পাসপোর্ট এবং কনস্যুলার পরিষেবার জন্য আবেদন সম্পর্কিত অ-বিচারমূলক এবং প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করে, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং মূল্যায়নের গুরুত্বপূর্ণ কাজে তাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সক্ষম করে।
প্রযুক্তি উন্নয়ন, গ্রহণ এবং একীকরণের জন্য একটি দায়িত্বশীল পদ্ধতির মাধ্যমে, কোম্পানিটি ৬৯টি ক্লায়েন্ট সরকারের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কাজ করার সময় নীতিগত অনুশীলন এবং স্থায়িত্বকে অগ্রাধিকার দেয়। ১৬৫টি দেশে ৩৯০০টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার পরিচালনা করে, ভিএফএস গ্লোবাল ২০০১ সাল থেকে ৪৭৩ মিলিয়নেরও বেশি আবেদন দক্ষতার সাথে প্রক্রিয়াকরণ করেছে।
এ প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর জুরিখ ও দুবাই-এ। এর মালিকানায় সুইস ভিত্তিক কুত্তনি এবং হুজেন টোবলার এর আংশিক বিনিয়োগ থাকলেও অধিকাংশ মালিকানা রয়েছে ব্লাকস্টোন ইনকর্পোরেশন পরিচালিত বিনিয়োগ তহবিলের।
বিডি/ও