দেশের তিনটি বিভাগ এবং ভারতের আসাম ও ত্রিপুরার উজানে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনার কারণে সাতটি জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বুধবার (১ অক্টোবর) কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, ফেনী, লালমনিরহাট, নীলফামারী, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণার নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহমুদুল ইসলাম শোভন জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিম-মধ্য এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ উড়িষ্যা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগ এবং ভারতের ত্রিপুরা ও আসামের উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে ৪ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে এবং সংলগ্ন ভারতের প্রদেশে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সাত জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই নদীগুলোর পানি সমতল আগামী তিন দিনে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশেপাশে লঘুচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকায় বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা এই সময়কালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী চারদিনে আরও ভারী বর্ষণ হতে পারে। পাশাপাশি জলাবদ্ধতার বিষয়েও সতর্ক করে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন তারা।
