জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের এক সম্মেলনে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর দুর্দশা নিয়ে আলোচনার সময় সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন (এসপিএফ)-এর দূত ড. ইমদাদুল ইসলাম আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কেবল আঞ্চলিক সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক মানবিক ও নিরাপত্তা ইস্যু। তাই এই সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টা’ অপরিহার্য।
ড. ইমদাদুল ইসলাম তার বক্তব্যে এসপিএফ এবং এর মূল প্রতিষ্ঠান নিপ্পন ফাউন্ডেশনের মানবিক কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বিশেষভাবে বাংলাদেশের ভাসান চর পুনর্বাসন প্রকল্পকে তিনি কার্যকর মডেল হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র মানবিক সহায়তা দিয়ে দীর্ঘমেয়াদে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। রোহিঙ্গাদের টেকসই জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে এবং একই সঙ্গে আশ্রয়দাতা দেশ বাংলাদেশের ওপর চাপ হ্রাসে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরদার করতে হবে।
এসপিএফ দূত উল্লেখ করেন, নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী (তাৎমাডো) এবং আরাকান আর্মির মধ্যে দুটি যুদ্ধবিরতিতে সফল ভূমিকা পালন করেছেন। এই উদ্যোগগুলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ড. ইমদাদুল ইসলাম রোহিঙ্গা সংকটকে ‘আমাদের সময়ের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বিশ্বনেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই ইস্যু পুনরায় বৈশ্বিক আলোচনার অগ্রাধিকারে আনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নতুন আশা জাগিয়েছে।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। এই সংকটের টেকসই সমাধানে বিশ্বকে অসাধারণ নেতৃত্ব এবং অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করতে হবে।’