কাতার নিরাপত্তায় ট্রাম্পের কড়া নির্বাহী আদেশ

Published : ২১:৫১, ১ অক্টোবর ২০২৫
গত মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের নজিরবিহীন বিমান হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নতুন নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন।
এই আদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—যদি ভবিষ্যতে কাতারের ওপর আবার কোনো বহিরাগত হামলা হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা সামরিক ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না।
বুধবার (১ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, “বহিরাগত যে কোনো আক্রমণ থেকে কাতারের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা যুক্তরাষ্ট্রের নীতি।” এতে আরও বলা হয়, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথে কাতার যুক্তরাষ্ট্রের এক ‘অটল মিত্র’। দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সামরিক সহযোগিতা রয়েছে, সেটি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
এ আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, কাতারের ভূখণ্ড, সার্বভৌমত্ব বা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর যে কোনো সশস্ত্র আক্রমণকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজস্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হিসেবে গণ্য করবে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনবোধে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক, এমনকি সামরিক পদক্ষেপসহ সব ধরনের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে—যাতে উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা হয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায়।
এর আগে হামলার জেরে সৃষ্ট কূটনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে গত সোমবার হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আনুষ্ঠানিকভাবে কাতারের কাছে ক্ষমা চান। পরে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ ফোন কলে সেই ক্ষমা গ্রহণ করেন।
হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও কাতার সফর করেন। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্র–কাতার নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ সময় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভবিষ্যতে যেন আর কোনো আক্রমণ না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঐতিহাসিক ওই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করলেন।
সূত্র: আল জাজিরা
বিডি/এএন