গাজার দিকে এগোচ্ছে ‘ফ্লোটিলা’, ইসরায়েলের নজরদারি বৃদ্ধি

Published : ১৮:২৬, ১ অক্টোবর ২০২৫
মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’। এই নৌবহর বর্তমানে উপত্যকা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে ফ্লোটিলার কর্মীরা এই তথ্য জানান। তবে ইসরায়েলি নৌবাহিনী নৌবহরটিকে জোরপূর্বক আটক করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফ্লোটিলার নেতাদের কাছে স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে যে, তারা গাজার উপকূলে পৌঁছাতে পারবেন না।
এর জবাবে ফ্লোটিলার কর্মীরা জানিয়েছে, তারা ত্রাণ সরাসরি গাজায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইসরায়েলের সব বিকল্প প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েলি মিডিয়া ‘ইয়নত নিউজ’ জানিয়েছে, নৌবাহিনী নৌবহরটি জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ইতোমধ্যেই আশদোদ বন্দরে প্রায় ৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে নৌবহরকে বন্দরে আনা যায়।
ফ্লোটিলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, তারা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে প্রবেশ করেছেন এবং তাদের জাহাজের উপরে ড্রোনের তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ ভোরেও ইসরায়েলি নৌবাহিনীর একটি কৌশল ব্যর্থ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইসরায়েলি বাহিনী জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গ, আইনজীবী ও বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে বিকল্প পথ প্রদানের চেষ্টা করেছে। তারা জানিয়েছে, ফ্লোটিলারা যদি মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে চান, তবে আশদোদ বন্দরে নোঙর করতে পারেন। সেখানে পণ্য খালাস হলে ইসরায়েল তা গাজায় স্থানান্তর করবে। তবে ফ্লোটিলার কর্মীরা এই বিকল্প প্রস্তাবে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, ৫০টি জাহাজ এবং প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে গঠিত এই গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা পূর্বের ত্রাণবাহী নৌবহরগুলোর তুলনায় অনেক বড় এবং তা আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপক নজর কেড়েছে।
বিডি/এএন