ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন।
সোমবার সকালে কার্জন হলে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “ভোটকে আমরা উৎসবের মতো উদযাপন করতে চাই। কোনো ধরনের অভিযোগ বা বিবাদে জড়াতে চাই না।”
তবে তিনি অভিযোগ করেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রার্থীদের জন্য কোনো পরিচয়পত্র বা অনুমতিপত্র জারি করেনি। এ কারণে নারী ভোটকেন্দ্রে আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।”
ভোটগ্রহণ শুরুর পর আবিদুল ইসলাম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান। তিনি নিজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ভোট দিতে উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে উপস্থিত হন।
তিনি আরও বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের ইতিহাসে আমরা দীর্ঘদিন ভোটাধিকার হরণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আজকের এই নির্বাচন হবে গণতন্ত্রের নতুন দৃষ্টান্ত। তাই শিক্ষার্থীদের কাছে আমার আবেদন, কেউ যেন ঘরে বসে না থাকে, সবাই ভোটকেন্দ্রে এসে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।”
নিজের ভোট প্রদানের প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমি এখনও কেন্দ্রে প্রবেশ করিনি। ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্তব্য করতে পারব। আশা করছি, খুব দ্রুতই ভোট দিতে পারব।”
শিক্ষার্থীদের আরও একবার আহ্বান জানিয়ে আবিদুল বলেন, “দীর্ঘ সময় পর গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন বিবেকের ভিত্তিতে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করে এটাই আমার প্রত্যাশা।”
উল্লেখ্য, এবারের ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৬২ জন নারী। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে ১ জন ও এজিএস পদে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।
মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯,৭৭৫ জন, যার মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০,৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮,৯০২ জন।