সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন প্রমাণ মিলল

সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন প্রমাণ মিলল ছবি : সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৭:৫৫, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিন বেগমের মরদেহ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরীর ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।

নিহত সুমাইয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার মা তাহমিন বেগম, মৃত শামসুল হকের কন্যা, যিনি স্বামী মৃত নুরুল ইসলামের সাথে দু’সন্তান ও এক কন্যাকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন। নুরুল ইসলাম কুমিল্লা আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক ছিলেন।

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে সুমাইয়ার বাবা বাসাটি ভাড়া নেন। তার মৃত্যুর পর সুমাইয়া তার মায়ের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। রোববার রাতে তার দুই ভাই ঢাকা থেকে ফ্ল্যাটে এসে ঘরের দরজা খোলা দেখেন। প্রথমে তারা মনে করেন মা-বোন ঘুমাচ্ছেন, কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে কাছে গিয়ে তারা মরদেহ দেখতে পান।

প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও, পাশের স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসার পর মামলার দিকে নতুন মোড় নেয়। ফুটেজে দেখা যায়, রোববার সকাল ৮টা ৮ মিনিটে মাথায় টুপি ও পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। বেলা ১১টা ২২ মিনিটে তিনি বের হন, ১২ মিনিটের মধ্যে আবার ভিতরে ঢোকেন। এরপর দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত আর বের হওয়া যায়নি। স্কুল বন্ধ হওয়ার পর সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে তার বের হওয়া ক্যামেরায় ধরা পড়েনি।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম নিশ্চিত করেন, মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজসহ সকল আলামত সংগ্রহ করেছে। ময়নাতদন্ত চলছে এবং প্রাথমিক তদন্তে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওসি আরও জানান, নিহতদের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মেয়েটির গলায় একটি দাগ দেখা গেছে, আর মায়ের একটি চোখ রক্তাক্ত ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ পুরো ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে তদন্ত করছে

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement