দরবারে হামলার ঘটনায় ১১ গ্রেপ্তার, আরও মামলার প্রস্তুতি পুলিশের

দরবারে হামলার ঘটনায় ১১ গ্রেপ্তার, আরও মামলার প্রস্তুতি পুলিশের ছবি : সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৬:৪৪, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, নুরাল পাগলের দরবারে হামলার ঘটনায় জড়িত কেউই ছাড় পাবে না।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমাম মেহেদী দাবি করা বিতর্কিত নুরাল পাগলের বাড়ি ও মাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ মিলবে, তাদের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটা প্রশাসনের কেউ হোক বা সাধারণ মানুষ দোষীদের কাউকেই ছাড়া হবে না। ইতোমধ্যে একটি মামলা হয়েছে এবং আরও কিছু মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

অতিরিক্ত ডিআইজি আরও বলেন, এখানে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। সঠিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। লক্ষ্য করলে দেখবেন, গ্রেপ্তারের সংখ্যা খুব বেশি নয়। অনেকের ধারণা হচ্ছে, নিরপরাধ ব্যক্তিদের আটক করা হচ্ছে—আসলে তা নয়। কোনো সমাবেশ প্রথমে শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে অশান্ত হয়ে গেলে সবাই জড়িত থাকে না। যারা অশান্তির সূত্রপাত করেছে, আইনশৃঙ্খলা ভেঙেছে শুধু তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

এ সময় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর মামলায় সোমবার সকালে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ওই মামলায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) মো. রাশিদুল ইসলাম জানান, রোববার রাতভর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন গোয়ালন্দের মাল্লাপট্টি শাকের ফকিরপাড়ার হেলাল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম শুভ (১৭), নতুনপাড়া মাল্লাপট্টির শওকত সরদারের ছেলে জীবন সরদার (২২), আদর্শ গ্রামের ছালামের ছেলে বিল্লু এবং ফরিদপুর কোটোয়ালির ডিগ্রিচর বারখাদার নিজাম উদ্দিন সরদারের ছেলে মোহাম্মদ ফেরদৌস সরদার (৩৬)।

তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর তৌহিদী জনতা নুরাল পাগলের দরবার শরীফে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হন এবং একজন নিহত হন। এরপর রাতেই এসআই সেলিম বাদী হয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement