নীলফামারীর সৈয়দপুরে জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ওপেন লাইন শাখার নবগঠিত কমিটিতে আওয়ামী রেলওয়ে শ্রমিকলীগের পাঁচ নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ায় রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার রাতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আকতার বিষয়টি জানতে পারেন। জানা যায়, ১৫ আগস্ট রাতে রেলওয়ে জাতীয়তাবাদী ওপেন লাইন শাখার এস.এস.এ.ই/ওয়ে সেকশন ইউনিটের ২৬ সদস্যের কমিটিতে ওই পাঁচ নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, রেলওয়ে কারখানার পাশে অবস্থিত সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির কার্যকরী সভাপতি আতাউল ইসলামকে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের সভাপতি, আনোয়ারুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, শ্রমিক লীগের কার্যকরী সদস্য সানাউল হককে সাংগঠনিক সম্পাদক, শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা সদস্য লিটন খাঁনকে আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং উপদেষ্টা সদস্য মমিনুর রহমান বসুনীয়াকে কার্যকরী সদস্য করা হয়েছে।
এ কমিটি গঠনের পর জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগপন্থী শ্রমিকদের দিয়ে কমিটি গঠন করা ন্যায়সঙ্গত নয়। এতে প্রকৃত বিএনপি কর্মীরা হতাশ হয়েছেন এবং স্বৈরাচারী সরকারের আমলের পুনর্বাসনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
রেলওয়ে ওপেন লাইন শাখার এস.এস.এ.ই/ওয়ে সেকশন ইউনিটের সভাপতি আতাউল ইসলাম জানান, “স্বৈরাচারী সরকারের সময় চাপে পড়ে শ্রমিক লীগে যুক্ত হয়েছিলাম। তবে কমিটিতে সক্রিয় ছিলাম না। কাজের স্বার্থে ওই দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।”
অপরদিকে, রেল শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ওপেন লাইন শাখার সভাপতি আব্দুল করিম বলেন, কমিটিতে রাখা সদস্যরা ভালো মানুষ। চাপে পড়ে তারা শ্রমিক লীগে ছিলেন, তবে মূলত তাদের আওয়ামী লীগ করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। ৫ আগস্টের পর তারা ডি ফরম পূরণ করেছেন, সেই কারণে কমিটিতে রাখা হয়েছে।
সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আকতার বলেন, “আওয়ামীপন্থী শ্রমিক দিয়ে কমিটি গঠনের বিষয়টি আমরা জেনেছি। এটি আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গ-সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত। আমরা বিষয়টি কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করব। বিএনপির মূলনীতি হলো কোনো আওয়ামীপন্থীর জন্য এখানে স্থান নেই।”
