ফিলিস্তিনের জন্য শক্ত বার্তা: ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াতে স্পেনের নিষেধাজ্ঞা

ফিলিস্তিনের জন্য শক্ত বার্তা: ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াতে স্পেনের নিষেধাজ্ঞা ছবি : সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৯:০০, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সোমবার ঘোষণা করেছেন, ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াতে তার সরকার ইসরায়েলগামী কোনো জাহাজ বা অস্ত্র বহনকারী বিমান স্পেনীয় বন্দর ব্যবহার করতে পারবে না এবং স্পেনের আকাশসীমায় প্রবেশও করতে পারবে না। ফিলিস্তিনে চলমান সংকটের প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি টেলিভিশন ভাষণে সানচেজ বলেন, “আমরা আশা করি এই পদক্ষেপগুলো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর যে দুর্ভোগ চলছে, তা কিছুটা হলেও লাঘব হয়।”

স্পেন সরকার আরও জানিয়েছে, তারা অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইসরায়েলি বসতিতে তৈরি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা বাড়াবে। এছাড়াও যারা ফিলিস্তিনে “গণহত্যায়” সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে, তাদের স্পেনে প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হবে।

এই পদক্ষেপগুলো স্পেনের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রতি দৃঢ় বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ইসরায়েল স্পেনের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সানচেজ তার অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির কেলেঙ্কারি থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে এসব করছে।” তিনি এই পদক্ষেপগুলোকে “ইহুদি-বিদ্বেষী” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

এছাড়াও প্রতিবাদস্বরূপ, ইসরায়েল স্পেন সরকারের দুই বামপন্থী মন্ত্রী-শ্রমমন্ত্রী ইয়োলান্ডা ডিয়াজ এবং যুবমন্ত্রী সিরা রেগো কে ইসরায়েলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। উভয় মন্ত্রীই স্পেনের জোট সরকারে থাকা বামপন্থী দল Sumar-এর নেতা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্পেনের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপে প্রথমবারের মতো এমন স্পষ্ট ও কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা গাজায় চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement