প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে, শাশুড়ি-ননদ-দেবর পলাতক

Published : ২১:৫০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বরিশালের মুলাদীতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নিহত গৃহবধূর পরিবারের দাবি, শাশুড়ি, ননদ এবং দুই দেবরের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে অভিযুক্তরা সবাই পলাতক। নিহতের বাবা আলমগীর ব্যাপারী জানিয়েছেন, তিনি এ ঘটনায় মুলাদী থানায় মামলা করবেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এর আগে একই দিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের ডাক্তারবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম আখিনূর। তিনি গাছুয়া ইউনিয়নের পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের আলমগীর ব্যাপারীর মেয়ে এবং ডাক্তারবাজার এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী সোহাগ দেওয়ানের স্ত্রী।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের বাবা আলমগীর ব্যাপারী বলেন, বিকেল চারটার দিকে সোহাগের মা তাকে ফোন করে জানান যে আখিনূর অসুস্থ। পরে হাসপাতালে নেওয়ার সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আলমগীর দাবি করেন, মেয়ে আখিনূরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শাশুড়ি নিলুফা বেগম, ননদ নাছিমা বেগম, দেবর সোহেল দেওয়ান ও সোলায়মান দেওয়ান মিলে আখিনূরকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, নির্যাতনের পর জোর করে আখিনূরের মুখে গ্যাস ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তার মুখ থেকে ট্যাবলেট বের করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নিহতের ননদ নাছিমা বেগম বলেন, সকাল থেকে আখিনূর অসুস্থ ছিল এবং বারবার বমি করছিল। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নিজেই গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছিলেন।
এদিকে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মুলাদী থানার পুলিশ এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি তাদের জানা আছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
BD/AN