“মাত্র ১০ টাকায় ইলিশ বিক্রির প্রচারণা, ভিড়ে হুমকির মুখে পড়লেন এমপি প্রার্থী”

Published : ২৩:৩৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থীর আয়োজনকে ঘিরে ঘটলো এক হুলস্থুল কাণ্ড। গরিব ও অসহায় মানুষের মধ্যে কম দামে ইলিশ বিতরণ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ফরিদপুর–৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিল। শেষ পর্যন্ত জনতার তোপ থেকে বাঁচতে পালিয়ে নিজের প্রাণ রক্ষা করেন তিনি।
বুধবার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে ১০ টাকা কেজি দরে ইলিশ দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রার্থী। কিন্তু মাত্র ৪ মণ অর্থাৎ প্রায় ৬০০টি ইলিশ নিয়ে হাজির হওয়ায় মুহূর্তেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ভিড় সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত তীব্র চাপ ও ক্ষুব্ধ জনতার ধাওয়া খেয়ে তিনি মাইক্রোবাসে চড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
সাক্ষাৎকারে মুফতি রায়হান জামিল জানান, “আমার উদ্দেশ্য ছিল অসহায়দের মুখে হাসি ফোটানো। কিন্তু এত বেশি মানুষ একসঙ্গে ভিড় করবেন, তা অনুমান করতে পারিনি। মুহূর্তের মধ্যে মাছ শেষ হয়ে গেলে অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর নিজের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত সরে আসতে হয়। ভবিষ্যতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া এ ধরনের আয়োজন করব না।”
এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা তাঁকে ভাসানচর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আটকে ফেলে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং তিনি সেখান থেকে নিরাপদে চলে যেতে সক্ষম হন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, “বিদ্যালয়ের মাঠে এমন বড় আয়োজন হবে—আমাকে আগে কোনো লিখিতভাবে জানানো হয়নি। হঠাৎ কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে খবর দিই। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।”
তিন দিন আগেই হাটে-বাজারে মাইকিং করে জানানো হয়েছিল, গরিব মানুষদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে ইলিশ বিক্রি করা হবে। সে ঘোষণায় আশায় বুক বেঁধেই হাজারো মানুষ ছুটে এসেছিল, কিন্তু অল্প সময়েই সব ইলিশ শেষ হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে উপস্থিত জনতা।
BD/AN