একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা, জানালেন আলী রীয়াজ

Published : ২২:০৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেল নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ।
তিনি জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি কমিশনের আলোচনায় রয়েছে এবং এ বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত গঠনের পর তা সরকারের কাছে সুপারিশ আকারে পাঠানো হতে পারে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান আলী রীয়াজ।
তার ভাষায়, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলের আলোচনায় এসেছে। সেই প্যানেল সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কার কার্যকর করতে একটি ‘সাংবিধানিক আদেশ’ জারি করার প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবিত আদেশের মধ্যেই মূলত সংবিধান সংশোধনের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অনুযায়ী, এই সাংবিধানিক আদেশটি জাতীয় নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোটে জনগণের অনুমোদনের জন্য পেশ করা যেতে পারে। গণভোটে জনগণের সম্মতি পাওয়া গেলে আদেশটি বৈধ ও কার্যকর বলে গণ্য হবে এবং ঘোষণার দিন থেকেই এর প্রয়োগ শুরু হবে।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, “গণভোটে জনসমর্থন পাওয়া গেলে ওই কনস্টিটিউশন অর্ডারকে বৈধ ও অনুমোদিত ধরা হবে এবং এর কার্যকারিতা ঘোষণার দিন থেকেই রেট্রোস্পেকটিভভাবে ধরা হবে।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি জানান, সংবিধানবহির্ভূত সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নীতিগতভাবে একমত হয়েছে যে, এসব অধ্যাদেশ বা সরকারি আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যাবে। তবে সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত সংস্কারের ক্ষেত্রে এখনও চূড়ান্ত ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি।
তার ভাষায়, বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। কয়েকটি দল প্রস্তাবটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করলেও কিছু দল আপত্তি জানিয়েছে এবং বিকল্প পথের কথা বলেছে।
তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আরও আলোচনার সময় চেয়েছে এবং ভিন্ন প্রস্তাবগুলো সীমিত করে আনতে কাজ করছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আশা করছে, অক্টোবরের প্রথম দিকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক যোগাযোগ বজায় রেখে একটি সুসংহত প্রস্তাব তৈরি করে সরকারকে চূড়ান্ত সুপারিশ আকারে পাঠানো সম্ভব হবে।
BD/AN