গৃহবধূ বাড়ি ফেরার দুই ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু

Published : ১৪:৪৯, ৭ অক্টোবর ২০২৫
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় এক গৃহবধূর রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা সোমবার সন্ধ্যায় চর-শালনগর এলাকা থেকে ভ্যানের ওপর পড়ে থাকা জান্নাতি ইসলামের (১৮) মরদেহ উদ্ধার করেন। নিহতের স্বামী সাজ্জাদ মিয়া (৩০) ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
জান্নাতি লোহাগড়া উপজেলার শালনগর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা-মায়ের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে জান্নাতিকে হত্যা করেছে। এ বছরের জুনে পারিবারিকভাবে সাজ্জাদের সঙ্গে বিয়ে হয় জান্নাতির। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা শুরু হয়। পারিবারিক কলহের কারণে গত ৩০ সেপ্টেম্বর জান্নাতি বাবার বাড়িতে ফিরে যান। তিন দিন পর সাজ্জাদ তাকে ফেরত নিতে গেলে মারধরের ঘটনা ঘটে, এবং জান্নাতির মা জামাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সাজ্জাদ ও তার মা অনুরোধ করে জান্নাতিকে বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নেওয়া হয়। এরপর বেলা দেড়টার দিকে সাজ্জাদের ফোন থেকে জানানো হয়, জান্নাতি গুরুতর অসুস্থ এবং তাকে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, সাজ্জাদের বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর একটি অটোভ্যানে জান্নাতির মরদেহ পড়ে আছে। তবে বাড়িতে তালা ঝুলছিল এবং পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
লোহাগড়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। মৃতের মা-বাবার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে জান্নাতিকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হতো এবং তাঁরা বিশ্বাস করেন, সাজ্জাদ ও তাঁর পরিবার পরিকল্পিতভাবে তাদের মেয়ে হত্যা করে পালিয়েছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে নড়াইল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি/এএন