মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজদের সঙ্গে টক্কর, আহত ৫

Published : ০১:১৭, ৮ অক্টোবর ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীতে পুলিশের সঙ্গে চাঁদাবাজদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে গুলি ও দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বারদীর নুনেরটেক এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল সোহাগ ও শ্রমিক জাকারিয়া ইসলামের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই চাঁদাবাজকে আটক করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার নলচর গ্রামের বারেকের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে একটি চাঁদাবাজ চক্র মেঘনা নদীর বালু ও মালবাহী নৌযান থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে বারেকের নেতৃত্বে টিটু, মহসিন, রানা, সাজ্জাদসহ চক্রের অন্যান্য সদস্য নুনেরটেক এলাকায় নৌযান থেকে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় শ্রমিক মহিবুল্লাহ ও জাকারিয়া ইসলামের ওপর হামলা চালানো হয়।
পুলিশ খবর পেয়ে বৈদ্যেরবাজার ও চালিভাঙ্গা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির যৌথভাবে অভিযান চালায়। তখন চাঁদাবাজরা দেশীয় অস্ত্র, টেঁটা, বল্লম ও রামদা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এসময় এএসআই মাকসুদ, কনস্টেবল সোহাগ ও সাইদুর আহত হন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে বারেকের ছেলে রানা ও সাজ্জাদকে আটক করা হয়। আহতরা সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
বাল্কহেডের শ্রমিক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের নৌযান আড়াইহাজারের মরিচাকান্দি থেকে বালু নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। নুনেরটেক এলাকায় পৌঁছালে চাঁদাবাজরা আমাদের ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় শ্রমিকদের ওপর হামলা চালানো হয়।”
বৈদ্যেরবাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানান, “দীর্ঘদিন ধরে একটি চাঁদাবাজ চক্র মেঘনা নদীতে নৌযান থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। পুলিশ অভিযানে গেলে তারা হামলা চালায়। দু’জন চাঁদাবাজকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”f
বিডি/এএন