ইসি সানাউল্লাহ: প্রতিবন্ধীরা ঘরে বসে ভোট দিতে পারবেন

Published : ২০:১০, ৭ অক্টোবর ২০২৫
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ প্রতিবন্ধী ভোটারদের ঘরে বসেই ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগকে একটি “যুগান্তকারী ও যুক্তিসংগত” পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি এই মন্তব্য করেন মঙ্গলবার (৭ই অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত এক সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে। অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে অন্য চার কমিশনার এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক দলে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণের বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলকে তাদের শাখা ও কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
এই সময়সীমা কোনোভাবেই বৃদ্ধি করা হবে না। তিনি আরও প্রস্তাব করেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে দলের নিবন্ধন বাতিলের ব্যবস্থা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা দলগুলোকে আরও দায়িত্বশীল করে তুলবে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদিও প্রবাসীদের ভোটারের সংখ্যা সীমিত, তবু এই প্রক্রিয়া শুরু করা অত্যন্ত জরুরি। এটি বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে তিনি জানান, অনেক যোগ্য সংস্থা থাকলেও পূর্ববর্তী নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফলাফল না দেখায় এবারের পর্যবেক্ষক তালিকা থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি অতীত তিনটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতাও স্বীকার করেন।
গুজব ও অপতথ্য মোকাবিলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রায় অর্ধেক গুজবের উৎস শনাক্ত করা যায় না, বিশেষ করে যখন তা দেশের বাইরে থাকে। তবে ইসি তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধ করবে না, বরং সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে অপতথ্য মোকাবিলা করার কৌশল গ্রহণ করবে।
এছাড়া, তিনি আন্তর্জাতিক উদাহরণ টেনে বলেন, রোমানিয়া-সহ বিশ্বের কোনো দেশও নির্বাচনে অপপ্রচারের প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকতে পারেনি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখনও পর্যন্ত কোনো কমিশন পুরোপুরি সফল হয়নি। তিনি বলেন, কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
বিডি/এএন