গরমে শিশুদের সুস্থ রাখতে চাই সঠিক খেলা ও খাবার ব্যবস্থা

গরমে শিশুদের সুস্থ রাখতে চাই সঠিক খেলা ও খাবার ব্যবস্থা

TheBusinessDaily

Published : ২৩:০১, ৫ জুলাই ২০২৫

গরমে শিশুদের সুস্থ রাখতে চাই সঠিক খেলা খাবার ব্যবস্থা
প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সব বয়সের মানুষ। তবে শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে এই সময়। অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্তি, পানিশূন্যতা, বমি, ডায়রিয়া হজমের সমস্যায় শিশুদের অসুস্থ হয়ে পড়ার হার অনেক বেশি। কারণে শিশুদের সুস্থ রাখতে প্রয়োজন বিশেষ যত্ন, সচেতনতা এবং কিছু কার্যকর ব্যবস্থা।

বর্তমানে শিশুদের মধ্যে স্ক্রিনে আসক্তির প্রবণতা বাড়ছে। ভিডিও গেম, ইউটিউব বা টেলিভিশনে সময় কাটানো তাদের শরীরচর্চাকে সীমিত করে ফেলছে। এমন অবস্থায় অভিভাবকদের বিরক্ত হওয়াও স্বাভাবিক। কিন্তু শিশুদের এই স্ক্রিন আসক্তি কমিয়ে আনার একটি কার্যকর উপায় হতে পারে আউটডোর গেম।

শিশুদের শরীরচর্চা মানসিক বিকাশে খেলাধুলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি শুধু তাদের শরীর ফিট রাখে না, বরং মনোযোগ, সমন্বয়, আত্মবিশ্বাস সামাজিক যোগাযোগ দক্ষতা গড়ে তোলে।

গরমের সময় যেসব আউটডোর গেম শিশুদের উপযোগী

ব্যাডমিন্টন এই খেলা শিশুদের হাত চোখের সমন্বয় বাড়াতে সাহায্য করে। এটি স্ট্যামিনা ফোকাস গঠনে সহায়ক। পিকলবল টেনিস, ব্যাডমিন্টন এবং পিংপংয়ের মিশ্রণে তৈরি পিকলবল বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটি দ্রুততা, মনোযোগ দলগত কাজ শেখায়। দড়ি লাফানো
এই সাধারণ ব্যায়াম শিশুদের হাড়ের গঠন, ধৈর্য কার্ডিওস্বাস্থ্য উন্নত করে। হপস্কচ
সংখ্যা চেনা, সমন্বয় ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে হপস্কচ দারুণ কার্যকর। দলীয় খেলাও শেখায়।বাস্কেটবল সমন্বয় এবং শরীরের উপরের অংশের শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি দলগতভাবে কাজ করার দক্ষতা গড়ে তোলে। রোলার স্কেটিং
এই খেলায় পায়ের পেশি ভারসাম্য বাড়ে, আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে।

টেনিস প্রতিক্রিয়ার সময় কমানো, কৌশলগত চিন্তা শৃঙ্খলা শেখায়। শরীরের উপরের অংশের শক্তিও বাড়ে। সাঁতার ফুসফুসের ক্ষমতা, পেশির স্বর শরীরের ফিটনেস বজায় রাখতে সাঁতার অন্যতম কার্যকর ব্যায়াম। ট্রাম্পোলিন জাম্পিং পায়ের পেশি হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এটি অঙ্গবিন্যাস ভারসাম্য রক্ষা করে।যোগব্যায়াম মনোযোগ, নমনীয়তা এবং মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। শিশুরা একাগ্রতা আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখে।

গরমে শিশুর ডায়েট কেমন হওয়া উচিত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরপরই এক গ্লাস পানি খাওয়ানো জরুরি।স্কুলে পাঠানোর আগে তেল, ঝাল, মসলাযুক্ত খাবার দেওয়া যাবে না। হালকা সহজপাচ্য খাবার যেমন দুধ-কর্নফ্লেক্স, দই-চিড়া, চিড়া-লেবুপানি, ডিম সেদ্ধ বা আলু সেদ্ধ দিয়ে ভাত দেওয়া যেতে পারে।স্কুলে দুটি পানির বোতল দিতে হবে। একটিতে থাকবে সাধারণ পানি, অন্যটিতে গ্লুকোজ মেশানো পানি।টিফিনে প্রতিদিন ফল রাখা বাধ্যতামূলক। রোল বা চাউমিনের মতো ভাজা খাবার না দিয়ে দেওয়া যেতে পারে চিড়ার পোলাও, উপমা বা ঘরেই তৈরি স্যান্ডউইচ। বাড়ি ফেরার পর হালকা খাবার দেওয়া উচিত এবং একটি বাটি দই খাওয়ানো ভালো।সন্ধ্যায় সুজি, চিড়া বা মাখনের মতো সহজপাচ্য খাবার দেওয়া যেতে পারে।রাতে সাধারণ ঘরোয়া খাবার যেমন ভাত, ডাল, সবজি, মাছ বা চিকেন দেওয়া উচিত। এই নিয়মগুলো মেনে চললে শিশুদের শরীর থাকবে সুস্থ, মন থাকবে চাঙা এবং গরমকাল কাটবে স্বস্তিতে।

বি ডি /এস কে

শেয়ার করুনঃ
Advertisement