“ভারতের থাকা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের পাশে, রাশিয়ার নয়” — নাভারো

“ভারতের থাকা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের পাশে, রাশিয়ার নয়” — নাভারো

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৩:১৫, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আবারও কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো।

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠককে তিনি সরাসরি “লজ্জাজনক” বলে আখ্যা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার (৩১ আগস্ট) এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে মোদি পুতিন ও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) নাভারো মন্তব্য করেন, “মোদিকে শি ও পুতিনের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখে সত্যিই লজ্জা লাগে। তিনি আসলে কী ভাবছেন তা বোঝা যায় না। আশা করি তিনি উপলব্ধি করবেন যে, ভারতের থাকা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের পাশে, রাশিয়ার পাশে নয়।”

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করার পর থেকেই নাভারো বারবার অভিযোগ করে আসছেন যে, ভারত রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কিনে যাচ্ছে এবং সেই অর্থ মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধ চালাতে ব্যয় করছে। অথচ ট্রাম্প দাবি করেছিলেন তিনি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই যুদ্ধ থামাতে পারবেন, কিন্তু এখনো তা সম্ভব হয়নি।

ভারতের বাণিজ্য নীতিকে এর আগে “শুল্কের মহারাজা” বলে আখ্যা দিয়েছিলেন নাভারো। তার দাবি, বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শুল্কহার ভারতের, এবং তারা এ বিষয়টি স্বীকার করতেও নারাজ।

নাভারোর অভিযোগ, ভারতের সঙ্গে দ্বিমুখী সমস্যা রয়েছে—অন্যায্য বাণিজ্যের কারণে ২৫ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক, আর রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু ভারত বারবার এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও প্রমাণ রয়েছে যে তারা রুশ তেল কিনছে।

ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে ছাড়কৃত মূল্যে তেল কেনায় আরো তীব্র আক্রমণ শাণিয়ে নাভারো বলেন, “এতে সাধারণ ভারতীয়দের ক্ষতির বিনিময়ে উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণরা লাভবান হচ্ছে।” এমনকি তিনি ভারতকে “ক্রেমলিনের মানি লন্ড্রির কেন্দ্র” হিসেবেও অভিহিত করেন।

তার মতে, ভারতীয় তেল শোধনাগারগুলো রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনে প্রক্রিয়াজাত করছে এবং পরবর্তীতে উচ্চমূল্যে বিদেশে বিক্রি করছে। এতে একদিকে ইউক্রেনীয়রা প্রাণ হারাচ্ছে, অন্যদিকে মার্কিন করদাতাদের বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে মস্কো ও বেইজিংয়ের ক্রমশ ঘনিষ্ঠতা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠছে।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement