শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে শসা কতটা কার্যকর

Published : ০২:৩৪, ২৪ জুন ২০২৫
শসার উপকারিতা: পুষ্টিবিদরা ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শসার কয়েকটি উপকারী দিন তুলে ধরেছেন। এগুলো হলো:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: শসার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাত্র ১৫, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। নিয়মিত শসা খেলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমে, টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: শসায় রয়েছে প্রচুর আঁশ ও পানি, যা হজমে সহায়ক এবং মলত্যাগে সুবিধা করে। বিশেষ করে শসার বীজ কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে কার্যকর।
শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে: গরমকালে ডিহাইড্রেশন রোধে শসা দারুণ কার্যকর। যেহেতু এর ৯৫ শতাংশই পানি, তাই এটি দৈনিক তরলের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।
পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ: শসায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এ ছাড়া এতে ফাইবার ও নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ওজন কমানো থেকে শুরু করে ত্বকের যত্ন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ কিংবা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে শসা একাধিক ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শসা অন্তর্ভুক্ত করলেই মিলতে পারে স্বাস্থ্যকর উপকার। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধু শসা নয়, পরিমিত খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের সঙ্গেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত ফল।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: শসার উচ্চ জলীয় উপাদান ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী।
বয়স ধরে রাখতে সহায়ক: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে শসা বার্ধক্যের প্রভাব ধীর করে।