খালি পায়ে মাটিতে হাঁটলে মিলবে নানান রোগ থেকে মুক্তি

Published : ০০:৩৫, ২০ আগস্ট ২০২৫
আধুনিক জীবনযাত্রায় মানুষ ক্রমেই প্রাকৃতিক জীবনধারা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন কিছু সময় খালি পায়ে মাটিতে হাঁটলে শরীর ও মনের জন্য তা অত্যন্ত উপকারী। বিশেষত প্রাকৃতিক মাটির সংস্পর্শ শরীরের ভেতরে এক ধরনের ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার করে, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খালি পায়ে হাঁটার ফলে শরীরের ভেতরে বিদ্যমান ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক শক্তি ভারসাম্যপূর্ণ হয়। এর ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং স্নায়ুতন্ত্র সক্রিয় থাকে। এতে শরীর ও মন উভয়ই সতেজ থাকে।
খালি পায়ে হাঁটার মাধ্যমে যে রোগগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়:
শরীরের ব্যথা ও যন্ত্রণা কমে
নিয়মিত খালি পায়ে হাঁটলে জয়েন্ট পেইন, কোমর ব্যথা, মাথাব্যথাসহ শরীরের নানা ধরনের ব্যথা হ্রাস পায়।
হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে
খালি পায়ে হাঁটার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়
মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ হয়, যা স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পায়ের কিছু প্রেসার পয়েন্ট সক্রিয় হয় খালি পায়ে হাঁটার মাধ্যমে। এর প্রভাব চোখের স্নায়ুতন্ত্রে পড়ে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তোলে খালি পায়ে হাঁটা। ফলে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ নানান রোগ সহজে কাছে ভিড়তে পারে না।
ঘুমের উন্নতি ঘটে
খালি পায়ে হাঁটার ফলে মানসিক চাপ কমে ও শরীর আরাম পায়। এতে অনিদ্রা দূর হয় এবং রাতে গভীর ও শান্ত ঘুম আসে।
স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট খালি পায়ে মাটিতে হাঁটা উচিত। বিশেষ করে সকালে কিংবা সন্ধ্যায় খোলা বাতাসে হাঁটলে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তিও পাওয়া যায়।
BD/AN