বাড়িতে ফ্রিজ বিস্ফোরণ রোধের সহজ উপায়

বাড়িতে ফ্রিজ বিস্ফোরণ রোধের সহজ উপায়

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০১:২৩, ২২ আগস্ট ২০২৫

বর্তমানে প্রতিটি ঘরের জন্য অপরিহার্য যন্ত্রের মধ্যে অন্যতম হলো রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ। খাবার সংরক্ষণ থেকে শুরু করে খাদ্য অপচয় রোধে এর গুরুত্ব অপরিসীম। তবে, এই অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রটিও হতে পারে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কারণ, যদি সঠিকভাবে ব্যবহার ও যত্ন নেওয়া না হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রিজ বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে কম্প্রেসার থেকে আগুন ধরে গিয়ে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় সাধারণ কিছু ভুলেই এমন বিপদ ঘটতে পারে।

ফ্রিজ বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণগুলো হলো:

ভুল ব্যবহার:
১০-১৫ বছরের পুরনো ফ্রিজ ব্যবহারে তার কার্যক্ষমতা কমে যায়। নিয়ম না মেনে ব্যবহার করলে শর্ট সার্কিট বা কম্প্রেসার বিস্ফোরণের ঝুঁকি তৈরি হয়।

পুরনো ফ্রিজ:
অতিনিয়মিত ব্যবহার বা দীর্ঘদিন চালু থাকা ফ্রিজ অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে। এতে কম্প্রেসারে চাপ পড়ে এবং ফেটে গিয়ে আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অতিরিক্ত খাবার রাখা:
ফ্রিজে ধারণক্ষমতার বেশি খাবার রাখলে ঠাণ্ডা করার ক্ষমতা কমে যায়। এতে ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং কম্প্রেসারে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা বিপদের কারণ হতে পারে।

নিম্নমানের প্লাগ-সকেট ব্যবহার:
দুর্বল বা নিম্নমানের প্লাগ ও সকেট শর্ট সার্কিটের অন্যতম কারণ। ভোল্টেজ ওঠানামার সময় বিশেষ করে স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার না করলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কুলিং কয়েলের যত্ন না নেওয়া:
ফ্রিজের গ্যাস লিক থাকলে তা স্পার্কের সংস্পর্শে এসে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। ভুলভাবে পরিষ্কার করার সময় ভেজা অবস্থায় সার্কিটে পানি প্রবেশ করলে বিপদ আরও বৃদ্ধি পায়।

অপরিষ্কার ও এলোমেলো ব্যবহার:
নিয়মিত পরিষ্কার না করা এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিস রাখার ফলে ফ্রিজের কার্যক্ষমতা কমে যায়। পেছনের পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা না থাকলে বায়ু চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়, যা তাপমাত্রা বাড়ায়।

ভোল্টেজ ওঠানামা:
অতিরিক্ত ভোল্টেজ ওঠানামা ফ্রিজের বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিশেষ করে পুরনো ফ্রিজে স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা জরুরি।

স্পার্ক বা অস্বাভাবিক গন্ধ পাওয়া:
ফ্রিজ থেকে ধোঁয়া, অস্বাভাবিক গন্ধ বা বিদ্যুৎচমকের মতো শব্দ আসলে দ্রুত বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির পরামর্শ নেওয়া উচিত।

সতর্কতা ও রক্ষণাবেক্ষণ:
ফ্রিজ বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতা এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। ব্যবহারকারীদের প্রতি ছয় মাস অন্তর ফ্রিজ সার্ভিসিং করানো উচিত এবং যন্ত্রাংশে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement