দুই সপ্তাহ চিয়া সিড খেলে শরীরে আসবে ৭ পরিবর্তন

Published : ১৬:৩৬, ২৯ জুন ২০২৫
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুশীলনরত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. সৌরভ সেনথি চিয়া বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন।
তার মতে, টানা ২ সপ্তাহ চিয়া সিড খেলে শরীরে যে পরিবর্তন আসে, তা আলোচনা করা হলো-
১. উন্নত হাইড্রেশন:
চিয়া বীজ পানি-ভরে গুঁড়োতে পরিণত হয়, যা দেহে জল-সংরক্ষণে সহায়ক—বিশেষ করে গরমে বা শারীরিক পরিশ্রমে।
২. পাচন ও গাট মাইক্রোবায়োম সুস্থ:
উচ্চ ফাইবার উপাদান অন্ত্রে নিয়মিততা আনে ও ফোলাভাব কমায়। ৫‑৭ দিনের মধ্যে মুদার গতি ঠিক হয়, ফ্যাটুলেন্স কমে এবং প্রি‑বায়োটিক হিসেবে কাজ করে গাট‑মধ্যস্থ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সুদৃঢ় করে।
৩. রিয়েল প্লান্ট-ভিত্তিক ওমেগা‑৩ লাভ:
চিয়াতে এএলএ (কৃষিজ ওমেগা‑৩) থাকে, যা সিস্টেমিক প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে। টানা ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা ও মেজাজে স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা যায়।
৪. অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সুরক্ষা:
চিয়াতে ক্লোরোজেনিক ও ক্যাফেইক অ্যাসিড জাতীয় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা অন্তরস্থকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণ:
এই বীজ গ্যাস্ট্রিক এম্পটিং বিলম্বিত করে, ফলে ক্ষুধা দীর্ঘক্ষণ থাকে না; দ্বিতীয় সপ্তাহে স্বতঃস্ফূর্তভাবে খাবার পরিমাণ কমে যায়।
৬. ত্বকে ঝিলিক ও নমনীয়তা:
উপরোক্ত উপকারে + হাইড্রেশন মিলে ত্বক প্রশান্ত ও দীর্ঘজীবী হয়- বিশেষ করে চোখের নিচে ও মাখনের চারপাশে। ব্রেকআউটও কমে।
৭. দীর্ঘস্থায়ী শক্তি ও ক্লান্তি হ্রাস;
প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও কার্বোহাইড্রেটের সমন্বয়ে চিয়া বীজ সারাদিন ইনার্জি যোগায় ও মধ্যাহ্ন ক্লান্তি এড়ায়।সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
বিডি/ও