নবাবগঞ্জ থেকে সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আটক

নবাবগঞ্জ থেকে সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আটক ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৭:২৪, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চেক জালিয়াতির মামলায় সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নবাবগঞ্জে অবস্থিত তার নিজস্ব রিসোর্ট থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তারের পর শামসুদ্দোহাকে আদালতে তোলা হয়েছে।

পুলিশের সাবেক এই অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা তার সময়কালে দুর্নীতির ‘বরপুত্র’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অবৈধ অর্থ উপার্জনে তার সুনাম ছিল বিরাট। বিশেষ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন নদী খনন প্রকল্পের টেন্ডার থেকে তিনি কমিশন হিসেবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন। পাশাপাশি নদী দখল করে গড়ে তোলা শিল্পকারখানার মালিকদের কাছ থেকেও বিপুল অর্থ আয় করেছেন।

অবৈধভাবে অর্জিত এই অর্থের বিনিয়োগে তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জে শতাধিক বিঘার জমির উপর বিশাল খামারবাড়ি নির্মাণ করেছেন, যেখানে কয়েকশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতিমধ্যেই শামসুদ্দোহা ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, তাদের ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ টাকার সম্পদ গোপন বা অবৈধভাবে অর্জিত। অভিযোগপত্র গত বছরের জুলাই মাসে দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে জমা দেন।

দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে শামসুদ্দোহা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। এই অর্থ বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে জমা হয়। তিনি ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা রাখার পর তা উত্তোলন করে উৎস ও মালিকানা গোপন করার চেষ্টা করেন।

অতিরিক্ত তদন্তে দেখা গেছে, তিনি ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদও গোপন করেছেন এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। এছাড়া আরও ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৭৮ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক আইন, ২০০৪ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইভাবে, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদ গোপন এবং ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার অজ্ঞাত আয় অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement