নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ইইউ: মাইকেল মিলার

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ইইউ: মাইকেল মিলার ছবি : সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২১:৩৯, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এই আয়োজনটি করে অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার অ্যাম্বাসেডরস (এওএফএ)।

রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা জরুরি। আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে, আর সেই সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত ইইউ।

এওএফএর সভাপতি আবদুল্লাহ আল হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।

নিজ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে মাইকেল মিলার জানান, তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সফর করেছেন। সেখানে তরুণদের প্রত্যাশা ও স্বপ্নকে কাছ থেকে দেখেছেন। এখন সেই তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণের উপযুক্ত সময় এসেছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও উন্নয়ন সহযোগীদের পাশাপাশি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা দিতে ইইউ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে এবং এজন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত্য অত্যন্ত জরুরি।

বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে যথেষ্ট আগ্রহী। তবে যেকোনো বিনিয়োগ টেকসই করতে হলে স্থিতিশীল পরিবেশ অপরিহার্য। বিনিয়োগের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিনিয়োগকারীদের প্রথম অগ্রাধিকার।

বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের ভিত্তি প্রসঙ্গে মিলার বলেন, আমাদের সম্পর্কের মূলে রয়েছে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও বাকস্বাধীনতা। ভবিষ্যতেও এসব বিষয়ে আরও শক্তিশালীভাবে একসঙ্গে কাজ করবে ইইউ। তিনি আরও জানান, বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়াকে ইইউ সব সময় উৎসাহিত করে এবং বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতার প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত জানান, ইইউ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা দিচ্ছে। পাশাপাশি সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও ইইউর অবস্থান তুলে ধরেন মাইকেল মিলার। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র টেকসই সমাধান হলো তাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement