রংপুরে ৫ মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যা করলেন মা

Published : ২১:১৪, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুরে ৫ মাসের শিশুসন্তানকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মা তুলসী রানী পুতুলের বিরুদ্ধে। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৬টার দিকে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পশ্চিম পলাশবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী বলেন, তুলসী রানী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তাকে সোমবার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা।
নিহত শিশুর বাবা বাবু লাল (৩৫) হোটেল কর্মচারী । তাদের ৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে আরও একটি ৫ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। তুলসী রানী পুতুলের বাবার বাড়ি সৈয়দপুরের আদানীর মোড়ের দলুয়া বাড়ি এলাকায়। নিহত শিশুর দাদি পাতানি বালা শোকাহত কণ্ঠে বলেন, ছেলের বউ তুলসী কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ। তাকে নিয়ে সোমবার চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
সকাল ৬টায় আমি নাতনিকে দুধ খাওয়াতে বলি। সে দুধ খাওয়াতে ঘরে প্রবেশ আমার ফুটফুটে নিষ্পাপ ৫ মাস বয়সের নাতনিকে রান্না কাজে ব্যবহৃত কাটারি (ছুরি) দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে উঠানে ফেলে দেয়। এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটাবে তা আমরা কেউ কল্পনাও করতে পারি নাই। প্রতিবেশী আজো বালা বলেন, কিছুদিন ধরে তুলসী মানসিক রোগগ্রস্ত ছিলেন।
দুই-তিন ধরে নিজেও খান না, শিশুটিকেও খাওয়ান না। প্রতিবেশীরা বললে শিশুটিকে দুধ খাওয়ান। শিশুটিকে তার মা গলা কেটে হত্যা করে মেরে ফেলেছে। ঘটনার পর তুলসী রানী ভয়াবহ হত্যাকান্ডের ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, আজকে কিছু হয় নাই। বাচ্চাটা তো আমি নিজে মারলাম। বাচ্চাটা হওয়ার পর থেকে আমি ভালো করে রান্না করে খাইতে পারি না।
আরও একটা মেয়ে আছে তার সেবাযত্ন করতে পারি না, এটাই সমস্যা। এ জন্য গলা কেটে মেরে ফেলেছি। তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ ফারুক বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং তুলসী রানীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটির মা নিজে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন। শিশু সন্তানের চাপ হত্যাকান্ডের মূল কারণ বলে মনে হচ্ছে।
BD/AN