সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন করে কিছু আর্থিক সুবিধা বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে একটি নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা এবং পূর্বের বকেয়া ভর্তুকির অর্থও ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হচ্ছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে—রাজস্ব আয়ে প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি না থাকায় সরকার নাকি বাড়তি ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ পরিষ্কারভাবে জানান, “এমন খবর সঠিক নয়। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে সরকারের এখন কোনো দুশ্চিন্তা নেই।”
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য দেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “অর্থনীতিতে আমরা এখন তুলনামূলক স্বস্তির মধ্যে আছি। তবে দারিদ্র্য বিমোচন, আয়ের বৈষম্য হ্রাস এবং খাদ্য নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “খাদ্যমূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আনতে সময় লাগবে।”
এ সময় তিনি জানান, বাজারের স্থিতিশীলতা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন করে গম ও চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। “আমরা নন-বাসমতি চাল আনব ভারত থেকে এবং গম আসবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে,” বলেন তিনি।
খাদ্যশস্য আমদানির পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে অর্থ উপদেষ্টা জানান, “আমরা আগেভাগেই খাদ্য মজুদ বাড়াচ্ছি যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে বোরো মৌসুমের ধান সংগ্রহ কার্যক্রম ব্যাহত হলেও দেশে চাল, গম, পেঁয়াজ বা লবণের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি দেখা না দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে দেশে চালের কোনো ঘাটতি নেই। তবে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত মজুদ থাকলে বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।”
একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির (ওএমএস) কার্যক্রমও পুনরায় চালু করা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ সাশ্রয়ী দামে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে পারে।
আসন্ন বিদেশ সফর প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এ সফরটি মূলত পূর্ববর্তী আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। নতুন কোনো ইস্যু বা চুক্তি এতে নেই।”