জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

Published : ২০:৫২, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
জিজ্ঞাসাবাদের নামে স্ত্রীসহ মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে, আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-কে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মামলা সংক্রান্ত শুনানিতে, বাদী ভিক্টিমের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা। মামলার বিবরণী দেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইলতুতমিশ সওদাগর এ্যানি।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন: সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন, কর্মকর্তা সাগর, কর্মকর্তা মেহেদী হাসান প্রিন্স, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী, কর্মকর্তা আফজালু রহমান সায়েম, কর্মকর্তা সাইদুর রহমান শাহিদ, কর্মকর্তা ফাতেমা আফরিন পায়েল, কর্মকর্তা রেজা তানভীর, রাকিন, শামীম রেজা খান, সোনিয়া আক্তার লুবনা, কর্মকর্তা আলিফ এবং কর্মকর্তা জাহিদ।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ফ্যাসীবাদ বিরোধী বর্ষাবিপ্লব চলাকালে বাদীর স্বামী ও ছেলে মোটরসাইকেলে চট্টগ্রামের মাদানী নগর মাদ্রাসার সামনে গেলে পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত জনতার উপর গুলি ও হামলা চালায়। এই ঘটনায় বাদীর স্বামীর হাঁটুর নিচে মারাত্মক আঘাত লাগে এবং ছেলের পা ভেঙে যায়।
ফ্যাসীবাদ পতনের পর, আহতদের স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাদী তার স্বামীসহ ২০২৫ সালের ২০ মার্চ ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর অফিসে গেলে, ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন ও অন্যান্য আসামিরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। একপর্যায়ে বাদীর স্বামীকে আলাদা কক্ষে নিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে শারীরিক নির্যাতন করা হয়, এবং বাদীকে ভয়ভীতি দেখানো ও মারধর করা হয়।
বাদীর অভিযোগ, আসামিরা তাদের ‘ভুয়া জুলাই যোদ্ধা’ বলে হুমকি দেয়, জোরপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করার চেষ্টা করে এবং বাদীর ব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এই নির্যাতনের ফলে বাদীর স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকেন। পরবর্তীতে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বিডি/এএন