বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে প্রত্যাবর্তন করলে তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সব ধরনের নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে বড়দিন উপলক্ষে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ সময় আতশবাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ থাকবে এবং বড়দিনে সড়ক অবরোধ করে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হবে না।
এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল আসামির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, তার সঠিক অবস্থান জানা থাকলে তাকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হতো। তিনি দেশে থাকতে পারেন, আবার দেশের বাইরেও থাকতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, যদি ওই আসামি বিদেশে গিয়ে থাকে, তাহলে তা বৈধ পথে নয়। তবে অবৈধভাবে কীভাবে বা কোন পথে গেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং এ ঘটনায় জড়িত কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা ২০ জন রাজনীতিবিদকে একজন করে গানম্যান দেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, যারা হিটলিস্টে বা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন, তাদের তালিকা করে ডিজিএফআই, এনএসআই ও এসবির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে অনেকেই ব্যক্তিগত কারণে গানম্যান নিতে চাননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।





























