সরকারি চাকরিজীবীদের বৈষম্য কমানো এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে গত জুলাইয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি পে কমিশন গঠন করে। কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয় এবং এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কিছুদিন পর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, এই সরকারের সময়েই নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু নভেম্বর মাসে অর্থ উপদেষ্টা জানিয়ে দেন, সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে কমিশনের সিদ্ধান্ত আগামী সরকার গ্রহণ করবে। এই ঘোষণার ফলে কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরে কর্মচারী নেতারা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কমিশনকে সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য আল্টিমেটাম দেন। তবুও এখন পর্যন্ত নবম পে স্কেলের সুপারিশ জমা দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে স্কেলের গেজেট প্রকাশের দাবি করেন কর্মচারীরা, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য আসেনি।
এ পরিস্থিতিতে কর্মচারীরা নতুন কর্মসূচি গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মূলত ২০ ডিসেম্বর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা, কিন্তু শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর তা স্থগিত করা হয়। আগামীকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কর্মচারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
কর্মচারী সংগঠনের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, নতুন বছরের শুরুতেই তাদের কর্মসূচি শুরু হবে। এতে প্রতীকী অনশন, সমাবেশ, মহাসমাবেশ বা দৈনিক ১-২ ঘণ্টার কর্মবিরতিও থাকতে পারে। নির্দিষ্ট তারিখ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।
এর আগে, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে কর্মসূচি বিধিমালা ও শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে দিতে হবে। কর্মচারীরা ইচ্ছেমতো বিধিমালা বহির্ভূত কোনো কর্মসূচি দিতে পারবেন না, এবং সব কার্যক্রম অবশ্যই নিয়মের সীমার মধ্যে হবে।































