দীর্ঘদিনের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঐক্য ও সহাবস্থানের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, সবাই একসঙ্গে এগোতে পারলে লাখো-কোটি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নানা ধর্ম ও বিশ্বাসের মানুষ বসবাস করে—এই বৈচিত্র্যকে শক্তিতে পরিণত করেই একটি সমৃদ্ধ ও মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত বিশাল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমানের ভাষণে বারবার উঠে আসে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ঐক্য এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান।
এর আগে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে একটি বিশেষ বাসযোগে পূর্বাচলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। পথে পথে দলীয় নেতাকর্মীরা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে ও স্লোগানের মাধ্যমে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। দীর্ঘ এই যাত্রা শেষে প্রায় ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর তিনি সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার আগে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আবেগঘন বার্তায় লেখেন, “দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!”
এরও আগে, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। একই দিন বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ৮টার দিকে লন্ডনের নিজ বাসা থেকে বের হয়ে স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে রাত সোয়া ১০টায় হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।




























