রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও টেলিভিশন উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ একটি ঘটনাবহুল দিন পার করেছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষ হওয়ার পর বেশ অপ্রচলিত ধরনের ব্যবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা দুপুর আড়াইটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি জানান, উপদেষ্টা পরিষদ জুলাই সনদ চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করেছে।
একই সঙ্গে জুলাই চার্টার, গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন—এই তিনটি একই তারিখে অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, সরকার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে গণভোটে চারটি প্রশ্ন তোলা হবে। তার মতে, এতগুলো বিষয়ের মধ্যে মাত্র চারটি বেছে নিয়ে জনমত যাচাই করার প্রক্রিয়া বিজ্ঞানসম্মত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির দাবি হচ্ছে—সংবিধান সংস্কার পরিষদ নিয়ে যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আলোচনা হয়নি। তারা উচ্চকক্ষে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থার বিষয়েও আপত্তি তুলেছে। সেখানে নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে। এসব প্রশ্নের মাঝেই কিভাবে প্রধান উপদেষ্টা বা তার প্রশাসন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল—এই প্রশ্নও তোলা হচ্ছে।
জিল্লুর রহমান জানান, জামায়াত দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে যে জনগণের প্রত্যাশা এই ঘোষণায় প্রতিফলিত হয়নি। তাদের দাবি ছিল—গণভোট নির্বাচন আগে আয়োজন করতে হবে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, বিএনপি বা জামায়াত—কোনো দলই বর্তমান সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয়।
এনসিপির অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা সবসময় বলে এসেছে যে জুলাই সনদে প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষর প্রয়োজন। তবে বাস্তবে যে কোনো অধ্যাদেশ বা নির্দেশে প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষর থাকে না—সেটা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনই স্বাক্ষর করে থাকেন, যা এই ক্ষেত্রেও অনুসৃত হয়েছে।


































