জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের একটি গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, মো. মাহমুদুল্লাহ হাসান নামে এক শিক্ষার্থী জীববিজ্ঞান অনুষদের ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় চ্যাটজিপিটির সহায়তায় প্রশ্নের উত্তর বের করে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে একই কৌশল অবলম্বনের সময় তাকে আবারও ধরা পড়তে হয়।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ‘এ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় শিফটে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ১০২ নম্বর কক্ষে পরীক্ষায় অংশ নেন মাহমুদুল্লাহ। এ সময় পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষক তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে উত্তর লেখার বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপরই তাকে আটক করা হয়।
আটক শিক্ষার্থী নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার আকাশকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুস সোবহানের ছেলে বলে জানা গেছে।
এর আগে, গত ২৩ ডিসেম্বর ‘ডি’ ইউনিটের পঞ্চম শিফটে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৪০১ নম্বর কক্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। ওই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে চ্যাটজিপিটিতে দিয়ে উত্তর সংগ্রহ করে পরীক্ষা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে ২৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত ফলাফলে তিনি পঞ্চম শিফটে ২৪২তম স্থান অর্জন করেন। তার রোল নম্বর ছিল ৪১৩৩৬৪২।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার সময় তিনি পরীক্ষাকক্ষে পেছনের সারিতে বসে গোপনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন। প্রশ্নের ছবি তুলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় উত্তর লিখতে গিয়ে শিক্ষক তাকে শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার জানান, ঘটনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।


































