দুই দিনে শেষ ম্যাচ, আইসিসির তীর মেলবোর্নের দিকে

দুই দিনে শেষ ম্যাচ, আইসিসির তীর মেলবোর্নের দিকে ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৭:১১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

মেলবোর্ন টেস্টে মাত্র দুই দিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। প্রথম দিনেই দুই দলের মিলিয়ে পড়ে যায় ২০ উইকেট, আর দ্বিতীয় দিনে আরও ১৬ উইকেট।

এত অল্প সময়ে ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ায় মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তাদের মূল্যায়নে এমসিজির পিচ ছিল ‘অসন্তোষজনক’। এ কারণে ভেন্যুটিকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে আইসিসি।

সম্প্রতি আইসিসির এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো এই রায় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এমসিজির পিচ অস্বাভাবিকভাবে বোলারদের সহায়তা করেছে। ম্যাচের প্রথম দুই দিনে মোট ৩৬ উইকেট পড়ে যায় এবং কোনো ব্যাটারই হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী এমন পিচকে অসন্তোষজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে মেলবোর্ন ভেন্যুর নামে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে।

এই টেস্ট ম্যাচের কারণে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বক্সিং ডে টেস্টে সংস্থাটির প্রায় ২৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার লোকসান হয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২০৪ কোটি ৮০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। একটি মাত্র টেস্ট ম্যাচ থেকেই এত বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে।

চলমান অ্যাশেজ সিরিজে চারটি টেস্টের মধ্যে দুটি ম্যাচই শেষ হয়ে গেছে মাত্র দুই দিনের মাথায়। এত দ্রুত টেস্ট ম্যাচ শেষ হওয়ায় আইসিসির পাশাপাশি সম্প্রচার সংস্থা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের অসন্তোষও বাড়ছে। দীর্ঘ ফরম্যাটের খেলায় এমন স্বল্পমেয়াদি ফলাফল ব্যবসায়িক দিক থেকেও বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান গ্রিনবার্গ বলেন, দর্শকরা সাধারণত দীর্ঘ সময়ের টেস্ট ম্যাচ দেখতে চান। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট যেন আরও বেশি দিন ধরে চলে। খুব অল্প সময়ে শেষ হওয়া টেস্ট ম্যাচ ক্রিকেটের ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর। তিনি ব্যাট ও বলের মধ্যে ভারসাম্য আনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তার মতে, প্রথম দিনে বোলাররা অতিরিক্ত সুবিধা পেয়েছে, তবে ব্যাটারদেরও আরও ধৈর্যশীল হয়ে খেলতে পারতেন।

গ্রিনবার্গ আরও বলেন, সব দায় শুধু পিচের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সরাসরি পিচ প্রস্তুতির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না এবং কিউরেটরদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে বাণিজ্যিকভাবে ক্রিকেটের ওপর যে প্রভাব পড়ছে, তাতে পিচের আচরণ নিয়ে নজর দেওয়া জরুরি। মাঠকর্মীদের কী করতে হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা না দিলেও, তাদের কাজের দিকে নজর রাখা হবে এবং প্রত্যাশার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানানো হবে।

এদিকে, তৃতীয় দিন থেকে তীব্র গরম পড়ার আশঙ্কায় এবার মেলবোর্নের পিচে প্রায় ১০ মিলিমিটার ঘাস রাখা হয়েছিল। কিন্তু ম্যাচ চলাকালে পিচের আচরণ দেখে কিউরেটর পেজ নিজেও বিস্মিত হয়েছেন। তার প্রত্যাশার সঙ্গে মাঠের বাস্তব চিত্র পুরোপুরি মেলেনি বলে মনে করা হচ্ছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement