রাজধানীর হাজারীবাগ থানার বারইখালী এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানি। তবে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এটি কোনো বিস্ফোরক নয়, বরং ‘শক্তিশালী পটকা’ হতে পারে।
বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে থাকলেও মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানি অক্ষত রয়েছেন এবং কোনো ধরনের আঘাত পাননি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাজারীবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সকালে বারইখালী এলাকায় একটি বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে জানা যায়, নির্মাণাধীন ভবনটি মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানিসহ কয়েকজনের উদ্যোগে তৈরি করা হচ্ছে। ঘটনার সময় তিনি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে তার কাছাকাছি স্থানে পটকা জাতীয় কোনো বস্তু বিস্ফোরিত হয়।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র বা অন্য উদ্দেশ্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরীক্ষা করতে পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাজারীবাগের বারইখালী এলাকায় মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানিদের একটি ফাউন্ডেশনের ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল। তিনি নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করেন এবং তার আত্মীয়স্বজনরাও ওই এলাকায় বসবাস করেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভবনে প্রবেশের সময় তার আনুমানিক পাঁচ থেকে সাত হাত দূরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
উল্লেখ্য, মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানি গত বছরের ২৬ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান। এর আগে সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। তিনি বরগুনা সদর থানার খাজুরতোলা গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের ছেলে।
































