পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ছবি : সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৬:৩২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) রাজধানীতে এক ঘোষণায় এ কর্মসূচি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র–জনতা রক্ত দিয়েছে স্বৈরতন্ত্রকে চিরতরে বিদায় জানাতে, রাষ্ট্রের ভেতরে জমে থাকা ৫৪ বছরের অরাজকতা ও জঞ্জাল দূর করতে, ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় ও স্বাধীন করার জন্য সংস্কার করতে এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে শুদ্ধ করতে। কিন্তু দু:খজনকভাবে সংস্কার ও বিচারের প্রশ্নকে উপেক্ষা করে নির্বাচনকে মুখ্য করে তোলা হয়েছে, যা দেশকে আবারও পুরোনো বন্দোবস্তে ফিরিয়ে নিতে পারে।

চরমোনাই পীরের দাবি, কিছু রাজনৈতিক দলের বক্তব্য-বিবৃতি দেখে মনে হচ্ছে জুলাই আন্দোলন কেবল ক্ষমতার পালাবদলের জন্যই হয়েছিল। অথচ বাস্তবে এই অভ্যুত্থান ছিল স্থায়ী পরিবর্তনের জন্য।

তিনি বলেন, যারা জুলাইয়ে জীবন দিলেন, যাদের রক্ত প্রবাহিত হলো তাদের সঙ্গে করা অঙ্গীকার ভঙ্গ করা যাবে না। সেই দায় থেকেই আমরা যুগপৎ আন্দোলনের পথে নামছি। ইতিমধ্যে সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, কিন্তু কোনো ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি। তাই রাজপথে নামা ছাড়া বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর ১৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো জুলাই সনদ কার্যকর হয়নি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হলেও সংস্কার বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি নেই। বরং নানা আপত্তি আর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে সনদকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। অথচ এই সনদই হওয়ার কথা ছিল নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা।

জাতীয় পার্টির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই দল অতীতে ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিল। ভুয়া নির্বাচনে অংশ নিয়ে বৈধতা দিয়েছে। অথচ অভ্যুত্থানের পর আবারও মাথা তুলেছে। আমরা স্পষ্ট জানাতে চাই—জাতীয় পার্টি ও ফ্যাসিবাদের সব দোসরদের বিচার হতে হবে। বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করতে হবে।

পিআর প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, পুরোনো পদ্ধতিতে নির্বাচন দেশের কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। ৫৪ বছরের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে—এতে কেবল দুর্নীতি ও দুঃশাসন বেড়েছে। তাই উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের ৫ দফা দাবি হলো- ১. জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন। ২. নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির বাস্তবায়ন। ৩. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। ৪. গণহত্যার বিচার দ্রুত শুরু করা। ৫. জাতীয় পার্টি ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার ও তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।

এই দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য ইসলামী আন্দোলন তিন দিনের কর্মসূচি দিয়েছে- ১. ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ২. ১৯ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ। ৩. ২৬ সেপ্টেম্বর সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement