আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে সরকারের পদক্ষেপ

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে সরকারের পদক্ষেপ ছবি : সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১০:৩০, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, এর ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর চার্জশিট দ্রুত দেওয়া হবে এবং আটক আসামিদের বিচার দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানপন্থি রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেওয়ার পরামর্শও উঠে এসেছে। নির্ভরযোগ্য একাধিক উচ্চপর্যায়ের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিল বেড়েছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও এমন মিছিল হচ্ছে, যদিও অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য নয়। রাজধানীর বাইরে কুমিল্লা, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে এখন ছোট ছোট ঝটিকা মিছিল হচ্ছে, যেখানে উপস্থিতি থাকে ১৫–২০ জনের মতো। এর আগে ঢাকার বাংলামোটর, গুলশান ও ধানমন্ডি এলাকায় মিছিল হয়, এমনকি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। আগস্টে গুলিস্তান ও ধানমন্ডিতেও মিছিল হয়েছিল। তবে সর্বশেষ ৫ সেপ্টেম্বর তেজগাঁওয়ে কয়েকশ কর্মী নিয়ে তুলনামূলক বড় মিছিল করেছে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ।

নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ইন্ধনে ওই মিছিল বড় আকার ধারণ করে। তবে ওই নেতা এখন আর দলে নেই। এরপর থেকেই সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। বিশ্লেষকদের মতে, জুলাই অভ্যুত্থানপন্থি শক্তিগুলোর অভ্যন্তরীণ বিভাজনই আওয়ামী কর্মীদের মাঠে নামার সুযোগ তৈরি করছে।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ওমর ফারুক বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, ঝটিকা মিছিলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। নিয়মিত অভিযানে গ্রেপ্তার চলছে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরসহ একাধিক সংস্থা জানিয়েছে, রাজধানীর বাইরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একইভাবে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার ও মহানগরের কমিশনাররা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে সহযোগিতা চাইতে পারেন।

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শানতু জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ সব আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে জনশৃঙ্খলা ও শান্তি রক্ষায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

পুলিশ সদর দপ্তরের এএইচএম শাহাদাত হোসেনও বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement