গণতন্ত্র নয়, মানুষের জীবন–কল্যাণই সবার আগে: তারেক রহমান

Published : ১০:৫১, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গণতন্ত্র রক্ষার মূল্য কখনোই মানুষের জীবন কিংবা কল্যাণের চেয়ে বড় হতে পারে না এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মত প্রকাশ করেন।
তারেক রহমান লিখেছেন, জনগণই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি। তাদের মতামত, কণ্ঠস্বর এবং রাষ্ট্র গঠনে সক্রিয় অংশগ্রহণই গণতন্ত্রকে জীবন্ত রাখে। কেবল তখনই গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে, যখন অংশগ্রহণকারীদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি বাংলাদেশের এবং বিশ্বের সব গণতন্ত্রকামী মানুষের ত্যাগকে যারা প্রাণ দিয়েছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন কিংবা রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন সহ্য করেছেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। গণতন্ত্র রক্ষার মূল্য কখনো মানুষের জীবন ও কল্যাণের ঊর্ধ্বে হতে পারে না।’
এ প্রসঙ্গে তারেক রহমান লিখেন, এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য ‘কণ্ঠ থেকে কর্মে’ আমাদের জন্য বিশেষ বার্তা বহন করে। আমরা গর্ব করি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। বিএনপি সবসময় চেষ্টা করেছে, গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি কেবল কথায় সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবায়িত হোক।
তারেক রহমান আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ আবারও গণতন্ত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। বিভাজন, অপতথ্য এবং উগ্রবাদ এখন গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে আঘাত করছে। বিএনপির বিশ্বাস, গণতন্ত্রের জন্য প্রত্যেক নাগরিকের অংশগ্রহণ জরুরি, যার প্রতিফলন ঘটবে একটি প্রকৃত নির্বাচিত সংসদে যেখানে থাকবে ন্যায়বিচার, শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকারের সঠিক প্রতিফলন।
তিনি পোস্টে লিখেছেন, জাতির গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা হলো এমন একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকার, যা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে এবং জনগণকেন্দ্রিক নীতি বাস্তবায়ন করবে। এই আকাঙ্ক্ষা অবশ্যই ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূরণ করতে হবে। এ দাবি আজই তুলতে হবে। তাই আসুন একতাবদ্ধ জাতি হিসেবে এগিয়ে আসি, গণতন্ত্রের আদর্শ বাস্তবে রূপ দিই, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি তার সুফল ভোগ করতে পারে। আর দেরি করা যাবে না।
BD/AN